Blog
প্রশ্ন: ভাইয়া কানাডাতে স্টুডেন্ট ভিসায় এসে পার্ট টাইম কাজ করে নিজের লেখাপড়ার খরচ কি চালানো যায়?
- November 23, 2019
- Posted by: Towhid Siddiki
- Category: Immigration
প্রশ্ন: ভাইয়া কানাডাতে স্টুডেন্ট ভিসায় এসে পার্ট টাইম কাজ করে নিজের লেখাপড়ার খরচ কি চালানো যায়?
উত্তর: জি চালানো যায় তবে ব্যাপারটা আসলেই অনেক এবং অনেকটা কঠিন। কারণ আপনি যদি আপনার কমিউনিকেশন স্কিল এ ভালো না হন তবে আপনাকে কায়িক পরিশ্রম করতে হবে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে এই ধরনের জবে আপনাকে একদম ন্যূনতম বেতন দিবে।
এখন আপনাকে চিন্তা করতে হবে যে আপনি নিজে কানাডাতে থাকছেন অর্থাৎ এখানে থাকার ভাড়া খাওয়ার খরচ এবং আরো আনুষঙ্গিক কিছু খরচ অবশ্যই থাকবে যা কিনা আপনাকেই বহন করতে হবে অনেক সময় দেখা যায় যে এখানে সপ্তাহে 20 ঘন্টা কাজ করে অর্থাৎ মাসে 80 ঘন্টা কাজ করে আপনি যত টাকা ইনকাম করবেন তার একটি বড় অংশ আপনার থাকা এবং খাওয়ার খরচ বাবদ ব্যয় হয়ে যাবে আপনার কাছে অল্প পরিমাণ টাকা থাকবে ছয় মাস পরে আপনি হয়তোবা দেখবেন আপনার পরবর্তী টিউশন ফি এর এক-তৃতীয়াংশ টাকা আপনার কাছে জমা আছে কিন্তু বাদবাকি টাকা আপনাকে বাসা থেকে অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে নিয়ে আসতে হবে।
সম্পূর্ণ ব্যাপারটাই হচ্ছে ম্যানেজমেন্ট এর অর্থাৎ আপনাকে এখান থেকেও টাকা ইনকাম করতে হবে এবং বাংলাদেশ থেকেও অল্প হলেও কিছু পরিমাণ সাপোর্ট আপনাকে আনতে হবে।
আরেকটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে সেটি হল আপনি যেহেতু স্টুডেন্ট হিসেবে কাজ করবেন তারা আপনাকে ন্যূনতম পেইমেন্টই দিবে অর্থাৎ টেক্স কাটার পরে আপনার হাতে হয়তোবা প্রতি ঘন্টার জন্য 13 ডলার অথবা এর থেকে অল্প পরিমাণ বেশি কিছু টাকা আপনি পাবেন।
এখন যদি হিসাব করেন তাহলে আপনি দেখতে পাবেন মাসে সর্বমোট ইনকাম করেছেন 1040 ডলার।
এবার চলুন প্রতিমাসে আপনার খরচ দেখি
বাসা ভাড়া বাবদ 400-600
খাওয়া বাবদ 200-300
আনুষঙ্গিক খরচ 100
সর্বমোট খরচ সর্বোচ্চ 1000
সর্বমোট খরচ সর্বনিম্ন 700
এখন যদি আমরা সর্বনিম্ন খরচ ধরে আগাই তাহলে আপনার হাতে জমা থাকবে 340 ডলার।
এভাবে যদি আপনি 8 মাস ইনকাম করতে পারেন তবে এই 8 মাসে আপনার সেভিংস হবে 2720 ডলার।
এখন যদি আপনার সেমিস্টার ফি 5000 ডলার হয় তাহলে আপনাকে বাংলাদেশ থেকে আনতে হবে 2280 ডলার।
এভাবে করে চিন্তা করলে দেখা যায় যে বাংলাদেশ থেকে অবশ্যই কিছু না কিছু সাপোর্ট আপনাকে আনতেই হবে।
তবে এই সম্পূর্ণ ব্যাপারটি অন্যরকম হতে পারে একটু খেয়াল করে দেখুন উপরে আমি এক বছরে শুধুমাত্র 8 মাসের হিসাব নিয়ে কথা বলছি বাদবাকি চারমাসের কথা বলিনি কারণ ওই চার মাস আসলে সেমিস্টার ব্রেক আপনি চাইলেই এই সেমিস্টার ব্রেকে সম্পূর্ণ কাজ করতে পারেন এবং আপনার টিউশন ফি ম্যানেজ করতে পারেন।
চার মাস আপনার সেমিস্টার ব্রেক চলবে তখন আপনি পুরো সপ্তাহ কাজ করতে পারবেন অর্থাৎ এক মাসে যদি আপনি রেগুলার আট ঘন্টা কাজ করেন এবং প্রতি সপ্তাহে দুই দিন ছুটি নেন তাহলে আপনি সপ্তাহে কাজ করবেন 40 ঘন্টা এবং মাসে কাজ করবেন 160 ঘন্টা। অর্থাৎ এই এক মাসে আপনি ইনকাম করবেন 2080 ডলার।
অর্থাৎ চার মাসে ইনকাম করবেন 8320 ডলার।
এখান থেকে চার মাসের খরচ অর্থাৎ 2800 ডলার যদি আপনি বাদ দেন তাহলে আপনার হাতে সেভিংস হবে এই চার মাসের জন্য 5620 ডলার।
অর্থাৎ সম্পূর্ণ এক বছরে আপনার হাতে সেভিংস হবে 8340 ডলার।
অর্থাৎ উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে যে আপনি সেমিস্টার ব্রেকে যেই চার মাস পাবেন সেই চার মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এই চার মাস যদি আপনি ঠিক মতন কাজ করতে পারেন তবে খুব সহজেই আপনি আপনার পরবর্তী সেমিস্টার এর জন্য সেমিস্টার ফি কানাডাতে বসেই ইনকাম করতে পারবেন।
তবে এখানে যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে সেটি হচ্ছে ওই চার মাস কিন্তু আপনি ইচ্ছা করলে পড়তেও পারেন অর্থাৎ অন্যদের থেকে আপনি আপনার কোর্স অল্প সময়ে বেশি শেষ করবেন এর মানে হচ্ছে দুই বছরের কোর্স আপনি অলমোস্ট দেড় বছরেই শেষ করতে পারবেন।
কানাডা এমন একটি দেশ যেখানে আপনি যদি পরিশ্রমী হোন তবে আসলেই সম্ভব ভালো কিছু করা একটি জিনিস অবশ্যই অবশ্যই মাথায় রাখুন সেটি হচ্ছে এটি একটি ইংরেজি ভাষার দেশ অর্থাৎ আপনাকে ভালো কোন কাজ করতে হলে অবশ্যই আপনাকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে।
আশা করি উপরের আলোচনার মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পেরেছেন কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসায় এসে কিভাবে আপনি আপনার নিজের টিউশন ফি জমা করবেন এবং নিজের খরচ নিজেই ইনকাম করবেন।
আজকের মতন এতোটুকুই ইনশাআল্লাহ সামনে নতুন কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে। আল্লাহ হাফেজ।
ভিডিও লিঙ্ক
https://www.facebook.com/10MinuteIELTS/videos/978264309187236/